| |
               

মূল পাতা রাজনীতি অন্যান্য ছাত্রনেতাদের গত কয়েক দিনের বক্তব্য পুরো জাতিকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলেছে : নুর


ছাত্রনেতাদের গত কয়েক দিনের বক্তব্য পুরো জাতিকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলেছে : নুর


রহমত নিউজ     24 March, 2025     04:46 PM    


গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাদের বিতর্কিত করা যাবে না।

সম্প্রতি হাসনাত আব্দুল্লাহ’র ফেসবুক পোস্ট এবং সেই পোস্টকে দ্বিমত জানিয়ে করা সারজিসের ফেসবুক পোস্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের কয়েকজন ছাত্রনেতার গত কয়েক দিনের বক্তব্য পুরো জাতিকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। একজন কথা বলছেন, আরেকজন বলছেন, না এভাবে হয় নাই। আরেকজন বলছেন, তাদের দুজনের একজন মিথ্যা কথা বলছেন।

রবিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের আলী স্কুল মাঠে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর দায়িত্বশীল ছাত্রনেতাদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা দায়িত্বশীল কথা বলুন। এমন কোনো কথা বলবেন না, যা একটি সংকটকে উসকে দেবে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের ফায়দা লোটার রাস্তা করে দেবে।

গণআন্দোলনে ছাত্র ও তরুণদের ভূমিকা ছিল। তারা নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়ে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজত, খেলাফতের লোকজনও নানাভাবে নিগৃহীত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, লাঞ্ছিত হয়েছেন। তবুও হাসিনার সঙ্গে আপস করেননি।

তিনি আরো বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে আমরা রাজপথে নেমেছিলাম। এর ফলে গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে। এই আন্দোলনে আলেম-ওলামা এবং প্রশাসনের একটা বড় অংশ শেষ দিকে আমাদের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। সেনাবাহিনীও এক পর্যায়ে জনগণের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে।

কাজেই সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশকে কখনোই বিতর্কিত করা যাবে না। এগুলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। যারাই আমরা সরকার গঠন করি, সে সময় রাষ্ট্র চালাতে তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। যারা এসব প্রতিষ্ঠান কলঙ্কিত করেছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে।

দেশে গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য মতের ভিন্নতা থাকলেও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে উল্লেখ করে সাবেক এই ভিপি বলেন, তবে আওয়ামী লীগকে নিয়ে নয়। এই দল নিয়ে কোনো আলোচনা তো নয়ই—নির্বাচনও করা যাবে না। তারা গত ১৬ বছরে আমাদের ওপর অনেক বর্বরতা চালিয়েছে। ভিন্নমতের কাউকে ঘরেও থাকতে দেয়নি। সুতরাং তাদের নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা নয়। তবে আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলোও এর মধ্যে চলবে।

চাঁদপুর জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাসেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সলিমুল্লাহ সেলিম।